পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে ভূপৃষ্ঠে কোন বস্তুর ওজনের পরিবর্তন পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘুরছে। আমাদের প্রত্যেকের ঘূর্ণন বেগ পৃথিবীর ঘূর্ণন বেগের সমান, যেহেতু পৃথিবী আমাদেরকে এবং তার চারপাশের বায়ুমণ্ডলকে সাথে নিয়েই ঘুরছে। এ ঘূর্ণনের কারণে পৃথিবীর পৃষ্ঠে অবস্থিত বস্তুসমূহের উপর পৃথিবীর কেন্দ্রের বাইরের দিকে একটি বল ক্রিয়া করে, যাকে আমরা কেন্দ্রবিমুখী বল হিসেবে চিনি। অভিকর্ষ বল আমাদের উপর যেদিক ক্রিয়া করে, এই কেন্দ্রবিমুখী বল তার বিপরীত দিকে ক্রিয়াশীল (অথবা হতে পারে কেন্দ্রবিমুখী বলের উপাংশ ক্রিয়াশীল)। স্পষ্টত, ঘূর্ণনশীল পৃথিবীতে আমরা যে ওজন অনুভব করছি, তা উল্লেখিত দুই বলের লব্ধির ফলাফল। সুতরাং, কোন কারনে যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন (আহ্নিক গতি) থেমে যায়, আমরা কিছুটা বেশি ওজন অনুভব করব। কেননা তখন কেন্দ্রবিমুখী বলকে ব্যালেন্স করার জন্য আমাদের ওজন বলের কোন অংশ ব্যয় হবে না। ঘূর্ণনজনিত কারণে মেরু অঞ্চলে ও বিষুবীয় অঞ্চলে ওজন পরিবর্তনে তারতম্য দেখা যায়। যেহেতু পৃথিবীর ঘুর্ণন অক্ষ উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর সংযোগ রেখা বরাবর অবস্থিত ( প্রায় ) , তাই মেরু অঞ্...
Posts
- Get link
- X
- Other Apps
জড়তার ভ্রামক বা ঘূর্ণন জড়তা কোন স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকতে চাওয়া এবং গতিশীল বস্তুর গতিতে থাকতে চাওয়ার প্রবণতাকে জড়তা বলা হয়। অর্থাৎ জড়তা হচ্ছে গতীয় অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাওয়ার ধর্ম। এই জড়তার জন্যই বস্তু তার উপর বল প্রয়োগে বেগের পরিবর্তনে বাধা দেয়। কোন বস্তুর জড়তা বেশি, কোন বস্তুর জড়তা কম তা বোঝার জন্য "ভর" নামক একটি রাশির অবতারণা করা হয়। যে বস্তুর জড়তা বেশি তার ভরও বেশি এবং এ ভারী বস্তুটির বেগের পরিবর্তন ঘটাতে হলে তুলনামূলক বেশি মানের বলের প্রয়োজন হবে। উপরের আলোচনা রৈখিক গতিতে চলমান বস্তুসমূহের ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রকৃতিতে রৈখিক গতির পাশাপাশি ঘূর্ণন গতি নিয়েও আমাদের ডিল করতে হয়। যেমন, ঘরের দরজার গতি, গাড়ির চাকার গতি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বস্তুসমূহ একটি নির্দিষ্ট ঘূর্ণন অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। নির্দিষ্ট অক্ষের সাপেক্ষে বস্তুর কৌণিক বা ঘূর্ণন গতীয় অবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখতে চাওয়ার ধর্ম হচ্ছে ঐ অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণন জড়তা। ঘূর্ণন জড়তা বস্তুর উপর টর্ক (ঘূর্ণন বল) প্রয়োগে কৌণিক বেগের পরিবর্তনে বাধা দেয়। রৈখিক জড়তা সম্পর্কে ধারণা পেতে শুধুমাত্র বস্তুর ভর, m জানলেই হয় কিন্তু ঘূ...